অবশেষে মায়ের কোল পেল কুড়িয়ে পাওয়া পাঁচ মাসের ছেলে শিশুটি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার দুবলা গ্রামের এক নিঃসন্তান কলেজ শিক্ষক দম্পতি তাকে দত্তক নিয়েছেন।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাসুদ পারভেজের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন দত্তক মায়ের কোলে শিশুটিকে তুলে দেন।
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আদালতের শর্তানুযায়ী দত্তক মা-বাবা শিশুটিকে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন। তাদের সন্তান জন্ম নিলেও এই শিশুকে সন্তানের মর্যাদা দেবেন এবং সম্পত্তির উত্তারাধিকার করবেন মর্মে পাঁচ লাখ টাকার একটি বন্ডে স্বাক্ষর করেছেন।
তারা আরও অঙ্গীকার করেছেন, যদি কখনও প্রকৃত মা-বাবা উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে শিশুটিকে নিতে আসেন, তাহলে তারা অভিভাবকের কাছে শিশুটিকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন।
তা ছাড়া শিশুটির সঠিক পরিচর্যা ও দেখভাল হচ্ছে কি না তা যাচাই-বাছাই করে জেলা সমাজসেবা অফিসার প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
গত রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঢাকা-আগরতলা মহাসড়কের পাশে দুবলা গ্রামের একটি সড়কের পাশ থেকে দুবলা গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
শিশুটিকে সেখানে কলাগাছের ঝোঁপের ভেতর কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ছিল। কান্না শুনে তারা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে রাতেই পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
জহিরুল দম্পতি ছাড়াও নিঃসন্তান ১০ দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে শেষমেশ কলেজ শিক্ষক দম্পতিকেই দত্তক দেয়া হয়।